উখিয়া উপজেলার পালংখালীর ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (বালুখালী) শিশু সুরক্ষাবান্ধব শিক্ষা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কিছুক্ষণ হাসিখুশিতে সময় কাটান। শিশু শিক্ষার্থীদের অংকিত চিত্র, হস্তলিপি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
এ সময় তিনি উপনিসেফ শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
শিশুবান্ধব শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রধান শেলডন ইয়েট, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা, জাইকার উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি, কোস্ট ফাউন্ডেশের যুগ্ম পরিচালক মুজিবুল হক মুনীর, সহকারী পরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক টিম লিডার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, হেড অব হিউম্যানিটারিয়ান রেসপন্স শাহীনুর ইসলাম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিমসহ উপনিসেফ শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পর জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডশিপ এনজিওর জ্যৈষ্ঠ পরিচালক এবং স্বাস্থ্য প্রধান ডাক্তার কাজী গোলাম রসুল, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় (জিজিএইচএসপি) বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপকে এসব অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। এসব অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তরের মাধ্যমে চিকিৎসা অবকাঠামো এবং চিকিৎসা পরিবেশের উন্নতিতে সহায়তা করবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রদূত ইতো।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চিকিৎসার পরিবেশ উন্নত করতে অ্যাম্বুলেন্সগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জাপান দূতাবাস সুত্র জানায়, জিজিএইচএসপি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। ইতোমধ্যে জাপান সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনটি প্রকল্পসহ বাংলাদেশের ২০৮টি প্রকল্পে ১৬. ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন হয়েছে।
ইমাম খাইর, উখিয়া নিউজ ডটকম
পাঠকের মতামত